Higher Education in Denmark, Cost and Facilities, IELTS Score
ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষা ভিসা গাইডলাইন
11/14/20241 min read


ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষা, খরচ ও সুযোগ-সুবিধা, আইইএলটিএসে কত স্কোর
ডেনমার্ক বর্তমানে শিক্ষার্থীদের কাছে এক আকর্ষণীয় বিদ্যালাভের পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত। এ দেশের রাজধানি কোপেনহেগেন আর মুদ্রা হল ডেনিস ক্রোনা এবং ভাষা ডেনিস। ৫৭ লাখের বেশি মানুষের নর্ডিক দেশ ডেনমার্ক, যা ৪৪৩টি দ্বীপের এক দ্বীপপুঞ্জ। নিম্নভূমির এ দেশের আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ। বিশ্বের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে ডেনমার্ক অন্যতম। শিক্ষাক্ষেত্রে অন্য ইউরোপীয় দেশগুলোর মতোই বিদেশি শিক্ষার্থীদের লক্ষ্যের দেশ। দেশটির উচ্চ মানের জীবনযাত্রার কারণে হাজারো শিক্ষার্থী ডেনমার্ক অভিমুখী হন।
কেন ডেনমার্কে পড়তে যাবেন?
উচ্চ শিক্ষার জন্য অনেক মানুষই দুঃশ্চিন্তায় ভোগেন আর বুঝে উঠতেই পারেন না- কোন দেশ হবে তাদের গন্তব্য? অধিকাংশ মানুষই মনে করেন আমেরিকা, কানাডা অথবা অস্ট্রেলিয়া হবে তাদের জন্য বিদ্যার্জনের গন্তব্য। কিন্তু, এই দেশগুলোতে ভালো CGPA, IELTS, GRE/ GMAT থাকা সত্ত্বেও আপনি নিশ্চিত হয়ে বলতে পারবেন না- আপনি এদেশে ভিসা পেয়ে পড়তে যেতে পারবেন। বরং ইউরোপের এই দেশে আপনার ভালো CGPA ও IELTS স্কোর থাকলেই পেয়ে যাবেন আপনার ডেনমার্কে পড়ার টিকিট। তাই বলে এটা ভাবার কারণ নেই যে, এদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ভালো নয় বা এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো World Ranking-এর মধ্যে নেই। বরং এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক উন্নতদেশের চেয়ে ভালো।
বাংলাদেশ থেকে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তরের জন্য ডেনমার্ক গেলেও সেখানে স্নাতক করারও বেশ ভালো সুযোগ রয়েছে। এইচএসসি পাস বা মাধ্যমিক ডিপ্লোমাধারীরাও তাঁদের সনদ দিয়ে ডেনমার্কে স্নাতকের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এই সনদ ডেনমার্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমমূল্য কি না, তা যাচাই করা হয়। এখানে মূলত একাডেমিক মার্কশিটের প্রতিটি বিষয়ের প্রাপ্ত গ্রেড ও জিপিএ (গ্রেড পয়েন্টের গড়) ডেনমার্কের পরীক্ষার নম্বর ব্যবস্থার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়।
ডেনিশ এজেন্সি ফর সায়েন্স অ্যান্ড হায়ার এডুকেশন তাদের আন্তর্জাতিক পরীক্ষার হ্যান্ডবুকের নিয়ম অনুযায়ী বিদেশি গ্রেডগুলোকে ড্যানিশ গ্রেডিং স্কেলে রূপান্তর করে। তাই এ যোগ্যতা পূরণ হয়েছে কি না, তা জানতে শিক্ষার্থীদের তাঁদের পছন্দের বিষয়ের জন্য পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ভালোভাবে দেখে নেওয়া উচিত। এ ছাড়া ডেনমার্কের স্নাতক শিক্ষার জন্য নিবন্ধন করে যোগ্যতা যাচাই করে নেওয়া যেতে পারে। অথবা ফরমটি পূরণ করে সরাসরি ইউনিভার্সিটিতে পাঠালে তারা ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর যোগ্যতা যাচাই করে দেয়।
আপনাদের জন্য World Ranking-এ কিছু ডেনিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিচে দেওয়া হলঃ
University of Copenhagen
Roskilde University
University of Southern Denmark
IT University of Copenhagen
Copenhagen Business School
Copenhagen Business Academy
VIA International College
University College Zealand
Aarhus University
Technical University of Denmark
Aalborg University
Copenhagen University
Odense University
Danish University of Education
Royal Academy of Music
ডেনমার্কে পড়তে যাবার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা
ডেনিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনি ডেনিশ কিংবা ইংরেজী ভাষায় পড়াশুনা করতে পারবেন। ডেনিশ ভাষায় পড়তে গেলে অবশ্যই আপনাকে “Denisake Foreign Language” বা “Denish Test 2” পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হতে হবে। আর যদি ইংরেজী ভাষায় পড়তে চান, তাহলে IELTS স্কোর 5.5 – 6.5 থাকতে হবে, একাডেমিক পরীক্ষায় অবশ্যই ৫০% মার্ক থাকতে হবে। যদি আপনি ব্যাচেলর ডিগ্রী অর্জনের জন্য যান, তাহলে HSC + ১ বছর বাংলাদেশে পড়াশুনা করতে হবে। আবার মাস্টার্সে আবেদনের জন্য ৪ বছরের ব্যাচেলর এবং পিএইচডি পড়তে যেতে আপনাকে ২ বছরের মাস্টার্স থাকতে হবে।মাস্টার্স, পিএইচডিসহ যেকোনো স্নাতকোত্তর অধ্যয়নের জন্য যোগ্যতা ন্যূনতম চার বছরের স্নাতক ডিগ্রি। তবে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। এ ক্ষেত্রে ডেনিশ ডিগ্রিগুলোর সমতুল্য বাংলাদেশের স্নাতক ডিগ্রিগুলো সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা দিতে পারে।
কোর্স সার্চ ও কোর্স নির্বাচন
কোর্স সার্চের জন্য আপনি বিভিন্ন ডেনিস বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ঘেটে দেখতে পারেন অথবা, ডেনিস বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট আছে ( https://www.optagelse.dk), সেখানে গিয়েও দেখতে পারেন। কোর্স বাছাই-এর ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ইন্টারেস্ট ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা মাথায় রেখে কাজ করবেন। মনে রাখবেন, ডেনিশ ও বাংলাদেশের চাকুরীর বাজার ভিন্ন। তাই ডেনমার্কে থাকবেন নাকি বাংলাদেশে ফিরে আসবেন এইসব ভালো করে চিন্তা করেই আপনি আপনার কোর্স নির্বাচন করবেন।
আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হলঃ
১। একাডেমিক সার্টফিকেট এবং মার্কশীট
২। IELTS এর সনদ
৩। মোটিভিশন লেটার ও রিকমেন্ডেশন লেটার
৪। CV
৫। পাসপোর্টের কপি
অফার লেটার (Offer Letter) /এডমিশন লেটার(Admission Letter)
যদি ডেনমার্কের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার এডমিশন হয়, তাহলে আপনাকে একটি কনডিশনাল এডমিশন লেটার দেওয়া হবে। এর পর আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টসে টিউশন ফি জমা করতে হবে। তাহলেই আপনি পাবেন এডমিশন লেটার। চিন্তার কোন কারণ নেই- ভিসা না পেলে টিউশন ফি ফেরত পাঠানো হবে। উল্লেখ্য, এডমিশন লেটারের সাথে ST-1 নামক একটি ফর্ম পাঠানো হয়। সেখানে আপনার বিশ্ববিদ্যালয় ও নিজের তথ্য থাকে।
টিউশন ফি
সাধারণতঃ ডেনমার্কে পড়তে গেলে আপনাকে টিউশন ফি গুনতে হবে ৬০০০-১৬,০০০ ইউরো পর্যন্ত। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স ভেদে এই টিউশন ফি কম ও বেশি হতে পারে।
বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রোগ্রামের ওপর নির্ভর করে পড়াশোনার খরচ প্রতিবছর প্রায় ৬-১৮ হাজার ইউরো হয়ে থাকে। (১ ইউরো সমান বাংলাদেশি ১১৮ টাকা ৯১ পয়সা।) সবচেয়ে সাশ্রয়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিবছর ৬ হাজার থেকে ৯ হাজার ইউরোর মধ্যে চার্জ করে থাকে। স্বভাবতই স্নাতক ডিগ্রিগুলো স্নাতকোত্তর ডিগ্রির চেয়ে কম খরচের হয়ে থাকে।
শুধু ডেনমার্কেই নয়, জীবনযাত্রার খরচ সাধারণত মানুষের জীবনধারণের পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে। ডেনমার্কে বাসাভাড়া, খাবার, যাতায়াত, কেনাকাটা—সব মিলিয়ে মাসে খরচ পড়তে পারে প্রায় ৭৫০ থেকে ৯০০ ইউরো। কোপেনহেগেনের মতো উচ্চ খরচের শহরে যা সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ ইউরোর মতো হতে পারে।
স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ
ডেনমার্কে বিভিন্ন ধরণের স্কলারশিপ রয়েছে। আপনি যদি সেখানে সরকারি স্কলারশিপ পেয়ে যান, তাহলে আপনি শুধু পড়াশুনার নয়, মাসিক খরচও বহন করে থাকে। কিছু স্কলাশিপের নাম নিচে দেওয়া হলঃ
১। NORDPLUS
২। ERASMUS
৩। ERASMUS MUNDUS
৪। Full Bright Commission
স্কলারশিপ খুঁজে পেতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ
https://studyindenmark.dk/study-options/tuition-fees-scholarships
ব্যাচেলর ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি পিএইচডি সহ ৬শয়েরও বেশি বিষয়ে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে ডেনমার্কে। বিষয়গুলোর মধ্যে আছে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিকস এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স, আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার, এস্ট্রোনমি, অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োটেকনোলজি, ডিজিটাল মিডিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং, এপ্লায়েড ম্যাথমেটিকস, আইসিটি ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজিস, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, রোবোটিকস, একাউন্টিং এন্ড ফিন্যান্স, ফ্যাশন এন্ড টেক্সটাইলস ডিজাইন, ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ ইত্যাদি।
ভাষাগত যোগ্যতা
ইংরেজি ভাষার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের আবেদনকারীদের ইংরেজি ভাষা দক্ষতা ন্যূনতম ইংরেজি ‘বি’ ক্যাটাগরির হতে হবে। এটি মূলত ডেনিশ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রণীত ইংরেজি ভাষা দক্ষতা যাচাইয়ের ব্যবস্থা। কোনো কোনো প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে ইংরেজি ‘এ’ প্রয়োজন হয়। ইংরেজি ‘বি’র সমতুল্য আইইএলটিএস স্কোর ৬ দশমিক ৫ পয়েন্ট, যেটা ইংরেজি ‘এ’-এর ক্ষেত্রে ৭ পয়েন্ট।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমা
ডেনিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে মূলত সাবজেক্ট ও ইন্সটিটিউটভেদে আবেদনের সময়সীমা পরিবর্তিত হয়। কিন্তু, সাধারণত EEU এর বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদনের শেষ সীমা ১৫ই জানুয়ারি পর্যন্ত হয়ে থাকে আর সব ধরণের ফরমালিটি শেষে ক্লাশ শুরু হয় সেপ্টেম্বর মাস থেকে। কিন্তু, অবশ্যই ওয়েবসাইট ঘেটে আবেদনের সীমা ও এবং ক্লাশ শুরু হবার তারিখ ভাল করে দেখে নেবেন।
আবেদনের উপায়
ডেনমার্কে স্নাতক উচ্চশিক্ষার আবেদনগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত হয়। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের সরাসরি একক কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন না করে জাতীয় ভর্তির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।অনলাইন আবেদনে কাগজপত্র আপলোড করার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি—মূল নথিগুলোর প্রতিটি আলাদাভাবে উভয় পিঠ স্ক্যান করতে হবে; স্ক্যান করা নথির ছবি অবশ্যই রঙিন হতে হবে। আর খেয়াল রাখতে হবে, যেন নথির তথ্যগুলো স্পষ্ট পড়া যায়;
শুধু পিডিএফ ফাইল গ্রহণযোগ্য;
স্ক্যানের পর প্রতিটি নথি ফাইল নিজ নিজ নাম দিয়ে কম্পিউটারে রাখতে হবে। তারপর আবেদনের সময় প্রয়োজন অনুসারে আপলোড করতে হবে।
প্রতিটি প্রোগ্রামে আবেদনকালে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই পৃথক পৃথক স্বাক্ষর করা পৃষ্ঠা পাঠাতে হবে। ডিজিটাল আবেদন সম্পন্ন করার পর সেই জাতীয় ভর্তির ওয়েবসাইটেই পাওয়া যাবে স্বাক্ষর করার পৃষ্ঠা। সেটি প্রিন্ট করে স্বহস্তে স্বাক্ষর করে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানায় পাঠাতে হবে। তবে মাস্টার্স বা পিএইচডির বেলায় শিক্ষার্থীদের সরাসরি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এখানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা স্বাক্ষর করার নথি পাবেন। এখানেও একইভাবে প্রিন্ট করে স্বহস্তে স্বাক্ষর করে পাঠিয়ে দিতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ঠিকানায়। সাধারণত স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য আবেদনগুলো স্নাতক ডিগ্রির আবেদনের তুলনায় সহজ।
আবেদনের পর কাগজপত্র পাঠানোর উপায়
স্নাতকের ক্ষেত্রে সব নথি পাঠানোর ঠিকানা হলো—
Danish Agency for Higher Education and Science, Haraldsgade 53, 2100 Copenhagen
কুরিয়ারে পাঠানোর সময় খামের ওপর শিক্ষার্থীর পুরো নাম ও জন্মতারিখ উল্লেখ করতে হবে। স্নাতকোত্তরের ক্ষেত্রে সব একই, শুধু ঠিকানার জায়গায় থাকবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানা। শিক্ষার্থীর যোগ্যতা যাচাই সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মূল নথিগুলো ডাকযোগে আবেদনে উল্লেখিত শিক্ষার্থীর ঠিকানায় ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও ডকুমেন্টস চেকলিস্ট
ভিসা প্রক্রিয়া চাইলে আপনি অনলাইনে সেরে নিতে পারেন। অথবা, VFS Global Service Pvt. Ltd. তে গিয়েও সরাসরি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এই ভিসা প্রক্রিয়া একটু সময় সাপেক্ষ- ডেনমার্কের ভিসার জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে প্রায় ২ থেকে ৩ মাস। তাই, এই সময় সাপেক্ষ কাজ সারার জন্য হাতে থাকতে হবে পর্যাপ্ত সময়। না হলে, আপনার ভিসা পেতে গিয়ে সেমিস্টার লসও হতে পারে।ভিসার জন্য আপনাকে জমা দিতে হবে নিম্নোক্ত কাগজপত্রঃ
১। পাসপোর্ট ও রিসেন্ট ছবি
২। মার্কশিট ও সকল সনদ
৩। IELTS স্কোরের কপি
৪। এডমিশন লেটার
৫। সকল তথ্য দিয়ে সঠিকভাবে পূরণকৃত ST-1 ফর্ম
যোগাযোগের জন্য ঢাকা অফিসের লিঙ্ক দেওয়া হলঃ
আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ
ডেনমার্কে আপনাকে কোন ব্যাংক সলভেন্সি দেখাতে হবে না। যদি আপনি আপনার স্পাউস নিয়ে যেতে চান, তাহলেই আপনার একাউন্টসে ৭১২৯২ ডেনিস ক্রোনা দেখাতে হবে।
খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ
বিদেশি শিক্ষার্থীদের ডেনমার্কে পড়াশোনার পাশাপাশি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ আছে। তবে জুন, জুলাই ও আগস্টে এ রকম কোনো বিধিনিষেধ নেই, পুরোটা সময়ই কাজ করা যায়। ডেনমার্কে থাকা খাওয়া বাবদ ৭৫০-৯০০ ইউরোর মত খরচ করতে হবে। যদিও এই খরচের পুরোটাই ব্যক্তি বিশেষের উপর নির্ভরশীল। অনেকের অনেক কমও লাগতে পারে, আবার অনেক সুময় অনেক বেশিও খরচ হয়ে যায়।
ডেনমার্কে আবাসিক ব্যবস্থা
চিন্তার কোন কারণ নেই- এই দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়েই আছে আবাসিক হল। বিশেষত আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে অন্তর্জাতিক মানের সু্যোগ সুবিধাসহ হলের। যদি হোস্টেলে সিট না পেয়ে থাকেন কিম্বা হোস্টেলে থাকতে না চান, তাহলে আপনি বাসা ভাড়া করেও থাকতে পারেন।
এজন্য নিচে একটি খরচের এস্টিমেট দেওয়া হলঃ
হোস্টেল – ২৪০ – ৪০০ ইউরো
ফ্যামিলি বাসা- ২০০- ৫০০ ইউরো
শেয়ারড ফ্লাট- এটি আর কম হয়ে থাকে, সাধারণত আপনার ফ্লাটমেটের সংখ্যার উপর নির্ভর করবে।নিচের লিঙ্কে ঘাটলে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেনঃ
https://studyindenmark.dk/live-in-denmark/housing-1/how-to-find-housing
কোর্স শেষে চাকুরীর সুযোগ ও স্থায়ী বসবাস
এই দেশে Establish Card নামক এক ধরণের কার্ডের প্রচলন রয়েছে। আপনার মাস্টার্স বা পিএইচডি শেষ হবার পর আপনি এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর এই কার্ড থাকলে আপনি দুই বছর চাকুরী খোঁজার বা করার সুযোগ পাবেন।আর যদি স্থায়ী বসবাস করতে চান, তাহলে আপনাকে টানা ৮ বছর থাকতে হবে। এই ৮ বছর সময়ের শেষের ৪ বছরের মধ্য ৩.৫ বছর আপনাকে ফুল টাইম চাকুরীর সাথে সম্পর্কযুক্ত থাকতে হবে। তাহলেই মিলেবে ডেনমার্কে স্থায়ী নাগরিক হবার সুযোগ।
ডেনমার্ক ইউরোপের একটি সুখী ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র। এদেশে বসবাস করতে এখন অনেকেই আগ্রহী। তাই, আর দেরী কেন? চলুন আবেদন করি এখনি।
Guidance
Empowering students for international higher education success.
Contact
Success
info@tsc4u.com
+8801710729873
© 2024. All rights reserved by Trustworthy Students Consultancy